উত্তরদিনাজপুর

খুচরো পয়সা ব্যাঙ্ক জমা না নেওয়ায় কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির আন্দোলন

একটা সময় ছিলো যে সময়টায় বাজারে খুচরোর আকাল পড়েছিল। কিন্তু আজ ঠিক তার উল্টো। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতে ৫০০ ও  ১০০০ টাকার নোট বন্ধ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর টাকার সমস্যা হলেও খুচরো পয়সার সমস্যা কমে যায়। সকলের বাড়িতে জমে থাকা খুচরো পয়সা বাইরে বেরিয়ে আসে। এবং ব্যাংকও প্রচুর খুচরো পয়সা বাজারে ছারে। আর এর ফলে  বাজারে খুচরো পয়সার জোগান বেরে জায়। তারপর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। বাজারে খুদে ব্যবসায়ীরা খুচরো পয়সা নিলেও সেই খুচরো পয়সা দিয়ে দোকানের সরঞ্জাম কিনতে গেলে পায়কারি দোকানদার  তা নিতে রাজি হয় না। যদিওবা বাধ্য হয়েই ক্রেতাদের কাছ থেকে খুচরো নিলে তা বোঝার সমতুল্য হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে বড় বড় দোকানদার তথা মহাজনদের দাবী ব্যাঙ্কগুলি বেশি পরিমাণে খুচরো নিতে অস্বীকার করছে। ফলে বাধ্য হয়েই ছোট ছোট দোকানদারদের কাছ থেকে খুচরো নিতে অস্বীকার করতে হচ্ছে তাদের ।

খুচরো পয়সা নিয়ে জটিলতা কাটাতে মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে ৬ টাই কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কালিয়াগঞ্জ ক্রেতা সুরক্ষা ও সেবা সমিতির সভাপতি কানাই শেঠ বলেন, খুচরো পয়সা না নেওয়ার কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই গণ্ডগোলের সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যাঙ্ক গুলি যাতে খুচরো পয়সা গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয় সে ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুরে মোট ৫ টি ব্যাঙ্কে গিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলা হয়।

       এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সাহা বলেন, নোট বাতিলের সময় ব্যাঙ্কগুলি বাজারে প্রচুর খুচরো পয়সা ছেড়েছে। ব্যাঙ্কগুলি এখন খুচরো পয়সা না নেওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্যাঙ্ক গুলিতে গিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদের খুচরো পয়সা নেওয়ার আহব্বান জানানো হয়। কয়েকটি ব্যাঙ্ক কিছু কিছু করে খুচরো পয়সা নেওয়ার ব্যাপারে তাদের  আশ্বস্ত করলেও অন্য ব্যাঙ্কগুলি খুচরো পয়সা নেওয়ার ব্যাপারে তাদের  আশ্বস্ত করেনি। আগামী ১লা বৈশাখের মধ্যে  ব্যাঙ্ক গুলি খুচরো পয়সা নেওয়া শুরু না করলে কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতি  বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানানো হয় ।