নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে রাস্তা নির্মাণের কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ সদস্যদের নেতৃত্বে এই রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসীরা। সঠিক সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে না এই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তোলাবাজির কারণে এই রাস্তা নিম্নমানের করা হচ্ছে এমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসীরা। এমন ঘটনাটি সামনে এসেছে মানিকচক ব্লকের ভূতনি দক্ষিণ চন্ডীপুর এলাকায়।
মানিকচকের ভূতনি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে বাঁধের উপর শুরু হয়েছে পাকা রাস্তার কাজ। যে রাস্তা ভুতনি হাসপাতাল পর্যন্ত নির্মাণ হবে। তবে ঢিলেঢালা মনোভাবে দীর্ঘ প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই রাস্তার কাজ এখনো শেষ হয়নি। পিচিং পাকা রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দ অর্থ প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যায়ে ৭ কিমি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। স্বয়ং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রাস্তার কাজের সূচনা করেছিলেন। বর্তমানে দক্ষিণ চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। খোদ পঞ্চায়েত প্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই রাস্তার কাজ এদিন বন্ধ করে দিয়ে সঠিক কাজের দাবি তুলতে থাকেন। নিয়ম মেনে সঠিক কাজ না হলে বন্ধ থাকবে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা নির্মাণ কাজ এমনটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের তরফে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার সংস্থা বারংবার ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে বছরের পর বছর পার হয়েছে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে। তবে বর্তমানে যেভাবে রাস্তার কাজ করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের। পাথরের বদলে মাটি, বালি এই সমস্ত সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। এই ভাবে রাস্তা করা হলে মানুষের যে সমস্যা তা থেকেই যাবে। কেবলমাত্র নিজেদের পেটভরাতে এই দুর্নীতি চালানো হচ্ছে রাস্তার কাজে।
স্থানীয় বাসিন্দা বকুল দাস জানান, এই রাস্তার কাজ নিয়ে তোলাবাজি হচ্ছে আমরা শুনতে পাচ্ছি। ঠিকাদার সংস্থা ঠিকঠাক কিছু জানাচ্ছে না। তোলাবাজি ও দুর্নীতির কারণে রাস্তার কাজ ঠিক না হলে মানুষের সমস্যা আরও বেড়ে উঠেছে। রাস্তার কাজে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ঠিকাদার সংস্থা কোনমতেই ব্যবহার করছেন না। ফলে সঠিক নিয়ম মেনে কাজ না হলে এই রাস্তার কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।