বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় স্ত্রী সহ দুই সদস্যকে এলোপাথাড়ি চাকু মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। আহত ৩ সদস্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার শহরের পুরাটুলি বাধরোড হঠাৎ কলোনি এলাকায়। এই ঘটনার পরিবারের পক্ষ থেকে ইংলিশ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছর আগে হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডী এলাকার বাসিন্দা এক যুবক সঞ্জয় মন্ডল-এর সাথে পুরাটুলি বাদ রোড হঠাৎ কলোনি এলাকার বাসিন্দা সীতেশ মন্ডলের মেয়ে বৃন্দাবনী মন্ডলের সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রী বৃন্দাবনী মন্ডল জানতে পারে তার স্বামী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। সেই বিষয়ে প্রতিবাদ করে। গত তিনমাস আগে সে তার স্বামীর ঘর ছেড়ে ইংরেজবাজার শহরের পুরাটুলি বাধরোড হঠাৎ কলোনি এলাকায় বাবার বাড়িতে চলে আসে। সে বিষয়টি নিয়ে তার পরিবারকে জানাই। এদিকে অভিযুক্ত তার স্বামী সঞ্জয় মন্ডল তার স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু তার স্ত্রী স্বামীর ঘরে যেতে অস্বীকার করে।
এদিকে বুধবার রাতে অভিযুক্ত তার স্বামী সঞ্জয় মন্ডল শ্বশুরবাড়িতে তার স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবার পুনরায় আসে সেক্ষেত্রে সেও স্বামীর ঘরে যেতে অস্বীকার করলে অভিযোগ সেই সময় অভিযুক্ত তার স্বামী সঞ্জয় মন্ডল এলোপাথাড়ি ভাবে তার বুকে চাকু চালায় তখনই জামাই তার মা মেয়েকে খুন করার চেষ্টা করতে গেলে মেয়ের মা প্রভাতী মন্ডল জামাই-এর হাত থেকে মেয়েকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায়। অভিযোগ জামাই শাশুড়িকে হাতে চাকুর কোপ মারে। সে সময় তার শ্বশুর বাধা দিতে গেলে তার শশুরকে অভিযুক্ত জামাই চাকু দিয়ে কপাল ও পিঠে আঘাত করে। তারপর চিৎকার চেঁচামেচির হতেই বাড়িতে চাকু ফেলে অভিযুক্ত জামাই সঞ্জয় মন্ডল পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত মেয়ে, বাবা, মাকে, নিয়ে বুধবার রাতেই মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। পরিবারের পক্ষ থেকে এ দিন রাতেই ইংলিশ বাজার থানা অভিযুক্ত জামাইয়ের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত জামাই পালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইংলিশবাজার থানার পুলিশ।