ব্যাঙ্ক থেকে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একের পর এক মানুষকে ঠকাতে গিয়ে এবার হাতে নাতে ধরা পরে গেলেন এক ব্যাক্তি। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বাপ্পা সেন। সে নিজের পরিচয় দিতেন বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের কর্মী হিসেবে। গ্রামের অসহায় মানুষ যখন লোন পাওয়ার জন্য হন্নে হয়ে ঘুরছেন। সেই সময় এক শ্রেণীর দালাল চক্র তাদের কাছ থেকে টাকা, বাড়ির দলিল, আধার কার্ড ও অন্যান্য কাগজপত্র আটকে রেখে বারবার টাকা হাতানোর কাজ করতেন। ওই দালালদের মধ্যে এমনই একজন হলেন বাপ্পা সেন। এই রকম ভাবে প্রতারিত এক মহিলা সুপ্রিয়া সেন অভিযোগ করেন অভিযুক্ত বাপ্পা সেনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে পেয়ে উত্তমধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন ক্ষিপ্ত জনতা। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
এবিষয়ে প্রতারিত এক মহিলা সুপ্রিয়া সেন জানান, তিনি সরকারী ভাবে টাকা লোন নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তারপর বাপ্পা সাহা নামে ওই ব্যক্তি এবিষয়ে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দেন। পরে ওই ব্যক্তি সুপ্রিয়া সিং-এর কাছ থেকে ব্যাঙ্কে বই করার নাম করে হাজার টাকা নেয়, পরে বাড়ির দলিল নেয়। এরপরেই ওই ব্যাক্তির ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি বাপ্পা সাহা ওই এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের কাছ থেকে একই ভাবে টাকা তুলে ঠকিয়েছেন। তাই তার দাবী ওই প্রতারকের শাস্তি সহ তার জমির দলিল ও টাকা ফেরত দিক প্রশাসন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বাপ্পা সাহা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, তিনি এর জন্য টাকা নেন। কিন্তু ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেওয়ার চেকে কোন সিল না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এই সমস্ত টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিচের লিংকে
https://www.youtube.com/embed/Ml6lRZ2QiYA