রং মাখানোর অছিলায় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ!
লরি হাইজ্যাক হওয়ার ঘটনায় কিনারা করল পুলিশ
ট্রাক্টর চালকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য!
হোলি খেলার পর নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল কিশোর!
শর্ট-সার্কিট থেকে হঠাৎ করে আগুন। ভস্মীভূত বাড়ি
ডাম্পারের সাথে ছোট হাতির ধাক্কা, দুর্ঘটনায় মৃত এক
ভালোবাসার বিয়েকে মেনে না নেওয়ায় গৃহবধুকে জ্যন্ত পুড়িয়ে খুন!
বাংলা জুড়ে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে পোস্ট অফিস মোড়ে বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর বিক্ষোভ
সার্ভিস পয়েন্টে যাবার সময় প্রায় ছয় লক্ষ টাকা ছিনতাই!
দেওয়াল লিখন মুছে ফেলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ!
নির্বাচনের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের উচ্চস্তরীয় বৈঠক
অমিত সরকার খুনের প্রতিবাদে থানা ঘেড়াও করে বিজেপির যুব মোর্চার বিক্ষোভ
তৃণমূলের নির্বাচনী ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগকে ঘিরে বালুরঘাটে উত্তেজনা!
ইন্সেন্টিভ-এর টাকা না পেয়ে প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন বিভাগে প্রাণী বন্ধু কর্মচারীদের বিক্ষোভ
নীহারের মাটি শক্ত করতে নির্বাচনী প্রচারে চাঁচলে আসছেন ফিরহাদ হাকিম
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে তিনি বিজেপি সদস্য। তাই তাঁকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এলাকার কাজের জন্যই তাঁকে নির্বাচিত করেছেন তাঁর বুথের ভোটাররা। মানসিক দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের পাহাড়পুর বুথের সদস্য টুলটুলি দাস মালো। বিডিওকে জানিয়েছেন, ১০ দিনের মধ্যে তাঁর এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের ব্যবস্থা না করা হলে তিনি পঞ্চায়েত সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর যখন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়ার স্রোত শুরু হয়েছে, তখন এই পঞ্চায়েত সদস্যের সিদ্ধান্ত ব্যতিক্রমী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
টুলটুলিদেবী বলছেন, এলাকার মানুষজন কাজের জন্য আমাকে ভোট দিয়েছিলেন। তাই আমি জিতেছিলাম। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও আমি আমার বুথ এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারিনি। বিষয়টি আমি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমি বিজেপি সদস্য বলে আমাকে কোনও কাজ দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েতে আমাকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সভায় ডাকা হলেও আমার কথার কোনও গুরুত্ব থাকে না। প্রধান বলেন, আমি বিজেপি করি। আমি কাজ পাব না। এদিকে গ্রামে আলো, নর্দমা, রাস্তার প্রচুর সমস্যা রয়েছে। এটা আর পঞ্চায়েত নয়, একটি কোম্পানি হয়ে গিয়েছে। দলের তরফে কোনও বার্তা না পেয়ে আজ আমি পঞ্চায়েত সদস্যের পদ থেকে ইস্তফা দিতে এসেছি।
পঞ্চায়েত প্রধান আজমেরি খাতুনের স্বামী মুক্তার হোসেন বলছেন, কে কী করছে, তা তার ব্যক্তিগত বিষয়। ও যদি পদত্যাগ করে, তবে আমাদের কিছু করার নয়। ওর বুথে প্রচুর কাজ করা হয়েছে। একাধিক রাস্তা হয়েছে। পানীয় জল, ড্রেনের কাজ হয়েছে। ও সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলছে। ও তো মিটিংয়েই আসে না। পঞ্চায়েতে তো বিজেপির আরও সদস্য আছে, সিপিএমের সদস্য আছে। তাদের বুথেও তো কাজ হচ্ছে। শুধু ওর বুথেই নাকি কাজ হচ্ছে না। ও পদ থেকে ইস্তফা দিতেই পারে।
এদিকে পঞ্চায়েত প্রধান আজমেরি খাতুনের স্বামী মুক্তার হোসেনের দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণ করে পাহাড়পুরের বাসিন্দা উত্তম পাণ্ডে অবশ্য বলছেন, তাঁদের এলাকায় কোনও কাজ হচ্ছে না। বছর দুয়েক ধরে ড্রেন পরিষ্কার হচ্ছে না। রাস্তার আলো জ্বলে না। পঞ্চায়েত সদস্যও কাজ করতে পারছেন না। তাঁকে কাজ করতে দেওযা হচ্ছে না। তিনি বিজেপি বলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত তাঁকে কোনও কাজ দেয় না। আমরাও বিজেপিকে ভোট দিয়েছি বলে পঞ্চায়েত ব্রাত্য করে রেখেছে।
চাঁচল ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলছেন, ওই সদস্য পঞ্চায়েতের কোনও সভায় আসেন না। তাঁর এমনিতেই সদস্যপদ খারিজ হওয়া উচিত। তিনি যে অভিযোগ তুলেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই। তাঁর বুথ এলাকায় যথেষ্ট কাজ হচ্ছে। তিনি সেটা জানেনই না। তাঁর ইস্তফা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।
এদিকে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য লক্ষ্মণ পাণ্ডে জানান, এই অব্যবস্থা নিয়ে এর আগেও বিডিওকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান নামেই, তাঁর স্বামী সব কাজ করেন। তিনি স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। আসলে এখানে আমরা সবাই রাজার রাজত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে কোনও কাজ দেওয়া হচ্ছে না। ওই বুথে দুটো রাস্তা হলেও সেই কাজ তৃণমূলের ছেলেদের দিয়েই করানো হচ্ছে।