চাঁচল

টিউবওয়েল বসানো নিয়ে দুই ভায়ের বিবাদ! লাগলো রাজনৈতিক রং

টিউবওয়েল বসানো নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ. আর এই বিবাদকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত হচ্ছে মালদা জেলার রাজনৈতিক পরিবেশ।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিমুল হক দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির কর্মী। সম্প্রতি তিনি দলের তরফ থেকে একটি টিউবওয়েল পেয়েছিলেন। এদিন সকালে সেই টিউবল বাড়ির উঠোনে বসাতে গেলে দাদা তৃণমূল কর্মী আকবর আলীর সঙ্গে বচসা বাধে। সেই বচসায় ক্রমে হাতাহাতি ও মারপিটে পরিণত হয়। দুই পরিবারের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শেষে এলাকাবাসীরা দুই পক্ষকে শান্ত করে।

 

এদিকে এই গণ্ডগোলের জেরে দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

 

এ প্রসঙ্গে আজিমুল হক জানান আমি দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির কর্মী। দলের তরফ থেকে আমাকে একটি টিউবল প্রদান করা হয়েছিল। আজ সকালে সেটা বাড়ির উঠোনে বসানোর উদ্যোগ নিলে দাদা বাধা দেয়। আমাকে মারধর করে। তাই আমি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে এসেছি।

 

এদিকে পাল্টা অভিযোগ করেছেন এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত দাদা আকবর আলী। তিনি বলেন টিউবয়েল বসানো নিয়ে নিয়ে কোন গণ্ডগোল হয়নি। সামান্য পারিবারিক ভুল বোঝাবুঝির ফলে গন্ডগোল। আমরাও এ বিষয়ে থানায় জানিয়েছি।

 

এ প্রসঙ্গে বিজেপির হরিশ্চন্দ্রপুর মন্ডল সভাপতি রুপেশ আগারওয়ালা জানান এটা তৃণমূলের সংস্কার। আমরা আমাদের এক কর্মী আজিমুল হককে দলের তরফ থেকে একটি টিউবয়েল প্রদান করেছিলাম। ওরা খুব গরিব। কিন্তু কোনো ভালো কাজ তৃণমূলের সহ্য হয় না। তাই ইচ্ছে করেই গন্ডগোল পাকিয়েছে। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করি।

 

যদিও জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মার দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই গন্ডগোল। এর সাথে রাজনৈতিক বাদানুবাদের কোনো যোগসূত্র নেই। ঘনাটি পারিবারিক। সেটাকেই বিজেপি রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি সবকিছুতেই রাজনৈতিক লাগিয়ে তৃণমূল দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।