মালদা

মহানন্দা নদীর জলের প্রকোপ মালদায়। জলমগ্ন শহরের একাধিক ওয়ার্ড

গঙ্গার পাশাপাশি এবার ফুলহারের প্রকোপ। ফুলহারের জল ঢুকল গ্রামে। ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রিং বাঁধের। বর্তমানে নদীর জল গ্রামে ঢোকায় জনজীবন বিপর্যস্ত। যতটা সম্ভব প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়ি থেকে বের করে গ্রামবাসীরা স্থান নিয়েছেন স্থানীয় বিদ্যালয় আবার কেউ বাঁধের ওপরে।

            এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন এখনও তাদের পাশে দাঁড়ায়নি বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। মেলেনি কোনই সরকারি সাহায্য। তাই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জন্মেছে জলমগ্ন সমস্ত পরিবারের মধ্যে। জলমগ্ন বাসিন্দাদের অভিযোগ, আমরা প্রায় ১০ হাজার পরিবার জলমগ্ন। সবাই জলে ভাসছে। এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফ থেকে কিছুই ব্যবস্থা করা হয়নি। খাদ্য সামগ্রী তো দূরে থাকুক পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করা হয়নি। কার্যত অনাহারেই দিন কাটাতে হচ্ছে সহ পরিবার নিয়ে। আমাদের বাড়িতে যা খাদ্য সামগ্রী ছিল সবকিছুই জলের তোলে। আমরা এখন বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছি। আমরা চাই প্রশাসন এগিয়ে এসে আমাদের সাহায্য করুক। অন্তত একটু সহানুভূতি সহ কিছু খাওয়ার দিয়ে যাক।

             মহানন্দা নদীর জল বাড়ায় ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদার বিস্তৃণ এলাকা জলমগ্ন। নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডের একাংশ আজ জলের তলায়। ইংরেজবাজার পুর এলাকার  ৮,৯,১২,১৩ নম্বর নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডের নীচু এলাকা আজ জলমগ্ন। ঘর ছাড়া প্রায় হাজার তিনেক পরিবার।৯ নম্বর ওয়ার্ড এর কাউন্সিলার সঞ্জয় শর্মা জানান, আপাতত সমস্ত মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রায়মারি স্কুলে ও ধর্মশালায়। পৌরসভা থেকে এখন পর্যন্ত ত্রিপল ছাড়া কিছু দেওয়া হয়নি। আর ত্রিপল দেওয়া হয়েছে তা খুবই নগণ্য যেখানে হাজারটা লাগবে সেখানে দেওয়া হয়েছে মাত্র ২৫ টি ত্রিপল। এমনকি এই বিষয়ে তিনি চ্যায়ারম্যান কে জানিয়েছেন তিনি জেলা শাসককে জানানোর কথা বলেছেন। সাধারন মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।যদিও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে এানের অভাব নেই। আশ্রয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।  

             অন্যদিকে পুরাতন মালদা পুরসভার ৮,৯,১৮,২০ নম্বর ওয়ার্ডে মহানন্দার জল ঢুকে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গৃহহীন প্রায় তিনশো পরিবার।প্রত্যেক জলমগ্ন বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রশাসন কেবল নীরব। না ব্যবস্থা হয়েছে ত্রানের না আশ্রয়ের। আজ সকালে এলাকা পরিদর্শনে জান পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ। যে সমস্ত মানুষ জলমগ্ন হয়েছে তাদের জন্য এলাকার প্রাইমারি স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে।এবং তাদের সব রকম সাহায্যর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ।