বৈষ্ণব নগর

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বিপত্তি! প্রাণঘাতী হামলায় আতঙ্কের বাতাবরণ কালিয়াচকে

পাওনা টাকা চাইতে গিয়েই বিপত্তি! আক্রান্ত বিজেপি যুব মোর্চার জেডপি ৩৩ এ ব্লক সভাপতি অমিত তাঁতি সহ পরিবারের সদস্যরা। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলার সাথে জড়িত রয়েছে, এমনটাই অভিযোগ আক্রান্ত পরিবারের। যদিও এই ঘটনায় পর এলাকায় রীতিমতো আতঙ্কের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণঘাতী হামলার এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের খাস চাঁদপুর এলাকায়। 
    
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গণেশ বসাক ২০১১ সালে অমিত তাঁতির কাছ থেকে একটি গাড়ি কিনেন এবং সেই বাবদ টাকা বকেয়া থাকে। আর সেই টাকা চাইতে গেলেই তাদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত গণেশ বসাক ও তার দলবল মিলে সেই পরিবারের ওপর আচমকাই প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে হাঁসুয়া ও লাঠি সোটা দিয়ে বেধড়কভাবে মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি অমিত তাঁতির বাবা এবং মাকে ধারালো হাঁসুয়ার কোপ মারা হয়, যার জেরে তাদের হাতে পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। তবে শুধুই যে প্রাণঘাতী হামলা তা নয়, ভাঙচুর করা হয়েছে একটি দোকান ঘরও। 
    
এরপরেই সেখান থেকে কোনক্রমে বিজেপির যুব মোর্চার ব্লক সভাপতি অমিত তাঁতি পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচেন। পাশাপাশি আক্রান্ত বাবা এবং মাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে কালিয়াচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
    
যদিও এ বিষয়ে কালিয়াচক থানায় মোট পাঁচজন দুষ্কৃতীদের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে অভিযুক্ত গণেশ বসাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তার বাকি দলবল এখনো পর্যন্ত অধরা। তবে কালিয়াচক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে এবং সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।

এই ঘটনায় রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী জানান, থানায় আক্রান্তের পরিবার লিখিত অভিযোগ করেছে। পুলিশ তার তদন্ত শুরু করেছে, পাশাপাশি অভিযুক্তদের পুলিশ ধরার চেষ্টা করছে। তবে এই ঘটনায় দলের কোন বিষয় নেই, অভিযুক্তদের না ধরতে দল তো পুলিশকে বলেনি। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে এমনটাই জানান তিনি।